India vs England: সিরিজের মাঝেই অবসর নিলেন টিম ইন্ডিয়ার বোলার, স্টুয়ার্ট ব্রডের নাক ভেঙে

চলতি রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) মরশুমের পর লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন টিম ইন্ডিয়ার (India national cricket team) ফাস্ট বোলার। এক সময় খুব নাম করেছিলেন তিনি। ঘণ্টায় ১৫০ কিমি প্রতি ঘন্টা বেগে বল করে উঠে এসেছিলেন খবরের হাইলাইট। ভেঙে দিয়েছিলেন স্টুয়ার্ট ব্রডের (Stuart Broad) নাক। এবার থামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারতের স্পিড মাস্টার। রাজস্থানের বিরুদ্ধে ঝাড়খণ্ডের হয়ে শেষ লাল বলের ম্যাচ খেলতে প্রস্তুত তিনি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, ঝাড়খণ্ড কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে এবং রাজস্থানের বিরুদ্ধে তাদের শেষ গুরুপ ম্যাচ খেলবে।

আরও পড়ুনঃ আমূল পরিবর্তন! ভিড়ে ঠাসাঠাসির দিন শেষ, যাত্রী স্বার্থে সিদ্ধান্ত শিয়ালদা ডিভিশনের।

লাল বলের ক্রিকেটে বরুণ অ্যারনের (Varun Aaron) যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০৮ সালে। জম্মু ও কাশ্মীরের বিপক্ষে রঞ্জি ট্রফির লিগের ম্যাচে ঝাড়খণ্ডের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। দ্রুত গতি এবং প্রতিভা শীঘ্রই তাকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিয়ে গিয়েছিল তাঁকে। ২০১১ সালে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের হয়ে ওয়ানডে অভিষেক হয় বরুণের।

এক মাস পর একই ভেন্যুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় তাঁর। ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে বরুণ অ্যারন বলেন, ‘২০০৮ সাল থেকে লাল বলের ক্রিকেট খেলছি। যেহেতু আমি দ্রুত বোলিং করেছি, তাই আমি প্রচুর চোট পেয়েছি। এখন আমি বুঝতে পারছি যে আমার শরীর আমাকে লাল বলের ক্রিকেটে দ্রুত বোলিং চালিয়ে যেতে দেবে না, তাই আমি অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরিবার এবং জামশেদপুরের মানুষের সামনে এটাই আমার শেষ ম্যাচ হতে পারে কারণ আমরা এখানে সাদা বলের ম্যাচ খুব একটা খেলিনা। আমি এখান থেকে আমার ক্যারিয়ার শুরু করেছি, তাই এটি আমার জন্য খুব আবেগময়।’

ইনজুরির কারণে অনেক ধাক্কা সহ্য করেও অ্যারনের আবেগ অটুট ছিল। তাঁর আক্রমণাত্মক বোলিং শৈলী ক্রিকেট বিশ্বে চিহ্ন রেখে গেছে, যার মধ্যে ইংল্যান্ডের স্টুয়ার্ট ব্রডকে বিপজ্জনক বাউন্সারের মতো স্মরণীয় মুহূর্ত রয়েছে। ২০১৪ সালে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে একটি টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন ব্রডের নাক ভেঙে দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুনঃ খুশির খবর দিলো কেন্দ্র সরকার অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের ,শুধু পেনশনই না! শুনলে চমকে যাবেন

২০১৫ সালে ভারতের হয়ে তাঁর ক্যারিয়ার শেষ হয়। তবে, ঐ সময়ে তিনি নয়টি টেস্ট (৫২.৬১ গড়ে ১৮ উইকেট) এবং নয়টি ওয়ানডে (৩৮.০৯ গড়ে ১১ উইকেট) খেলেন। ৬৫টি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ৩৩.৭৪ গড়ে নিয়েছেন ১৬৮ উইকেট। ইংলিশ কাউন্টি সার্কিটে ডারহামের হয়ে খেলার সুযোগও পেয়েছিলেন অ্যারন। কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার দৌড় থেকে ছিটকে যাওয়া ঝাড়খণ্ডের জন্য রঞ্জি মরশুমের এটাই শেষ ম্যাচ।